এসইও করে আয় করার উপায়

এসইও করে আয়

এসইও করে আয় করতে হলে, আপনাকে প্রথমে জানতে হবে এসইও কি এবং এসইও কিভাবে করে। গুগলের ফাস্ট পেজে আপনার ওয়েবসাইটকে আনতে হলে প্রোপার ওয়েতে এসইও অপটেমাইজেশন করতে হবে। এসইও হচ্ছে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন। ইহা গুগলের একটি এলগরিদম। কোন কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করা হলে গুগল তার এলগরিদম বা নিজেস্ব বটের মাধ্যমে সার্চ করে থাকে। যখন কোন কিওয়ার্ড সঠিক ভাবে অপটিমাইজ করা থাকে তখন তা গুগল সহজে সবার সামনে উপস্থাপন করে থাকে। তাই কোন কিওয়ার্ড বা কন্টেন্টকে সহজে খোজে পেতে হলে সঠিক ভাবে এসইও করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে এসইও কিভাবে করবো। SEO এর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে করতে হয়। এক- অনপেজ এসইও, দুই- অফপেজ এসইও এবং তিন- টেকনিক্যাল এসইও। এই তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটকে এসইও করা হলে তখন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের ফাস্টপেজে আসবে। কোন ওয়েবসাইট গুগলের ফাস্ট পেজে আসলে তখন তা সকলে দেখতে পাবে। তখন আপনার সাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। ভিজিটর একটি ওয়েবসাইটে প্রান। যে ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর বেশি হবে ততো আয় করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

এসইও করে আয় করতে হলে 5টি স্কীল থাকতে হবে :

1. বেসিক কম্পিউটার স্কীল থাকতে হবে :

বেসিক কম্পিউটার স্কীল হচ্ছে কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা থাকতে হবে। কম্পিউটার আপনাকে চালনা করতে শিখতে হবে। কম্পিউটারের এম এস ওয়ার্ড, এক্সেল সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। মোটকথা কম্পিউটার অন-অফ করা এবং লেখালেখি করা সম্পর্কে আপনাকে জানা থাকতে হবে।

2. রিসার্স স্কীল থাকতে হবে :

রিসার্স স্কীল হচ্ছে কম্পিউটারে কোন তথ্য খোজে বের করার সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে তা সার্চ ইন্জিনে সার্চ করে খোজে বের করার পারদর্শী হতে হবে। SEO করতে হলে অনেক সময় বিভিন্ন টুলসের প্রয়োজন পড়ে। সার্চ ইন্জিন থেকে টুলস গুলো খোজে বের করা উপায় সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।

3. ইংলিশ স্কীল থাকতে হবে :

ইংলিশ স্কীল হচ্ছে ইংরেজী ভাষা সম্পর্কে আপনাকে মোটামুটি জানা থাকতে হবে। SEO এর কাজ যেহেতু ইংরেজিতে করতে হয় তাই ইংরেজি ভাষার উপর আপনার দখল থাকতে হবে। অনলাইনের কাজ বেশির ভাগই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করতে হয় তাছাড়া এসইও কাজ গুলো ইংরেজিতে করতে হয় তাই আপনাকে ইংরেজি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকতে হবে।

4. নতুনত্ব খোজে বের করার স্কীল থাকতে হবে :

নতুনত্ব খোজে বের করার স্কীল হচ্ছে নতুন নতুন কিছু জানার আগ্রহ থাকতে হবে। এসইও এমন একটি প্রক্রিয়া যা সময়ে সময়ে পরিবর্তন আসে। তাই এসইও সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আপডেট সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। কারন নতুন তথ্য সম্পর্কে আপডেট ধারনা না থাকলে আপনার ওযেবসাইট র‌্যান্কিং হারাবে। র‌্যান্কিং কমে গেলে আপনার ওয়েবসাইট পিছনে পড়ে যাবে। তাই নতুন নতুন আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।

5. লাইফ প্রজেক্ট স্কীল থাকতে হবে :

এসইও সম্পর্কে এক্সপার্ট হতে হলে আপনাকে লাইফ প্রজেক্ট স্কীল সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে। বাস্তবে প্রজেক্ট তৈরি করে আপনার কাজের এক্সপ্রেরিমেন্ট পরীক্ষা করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সে ওয়েবসাইটকে SEO করে গুগলের ফাস্ট পেজে আনতে হবে। এটা করতে হলে আপনাকে দু-তিন হাজার টাকা খরচ করা লাগতে পারে। আপনাকে ডোমেন- হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসে ডোমেন হোস্টিং দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সে ওয়েবসাইটকে সঠিক ভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে। তারপর সঠিক ভাবে এসইও করে গুগলের প্রথম পেজে আনতে হবে। পরিশেষে কাজের একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। কোন বায়ার বা কোন কোম্পানী কাজের স্কীল সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনার পোর্টফলিও সাবমিট করতে হবে।

এসইও করে আয় করার উপায় :

এসইও এর কাজ সম্পর্কে জানা থাকলে বিভিন্ন ভাবে আয় করা সম্ভব। বর্তমানে ওয়েবসাইটের জন্য এস ই ও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য SEO করতে হয়। এসইও ছাড়া কোন ওয়েবসাইট গুগলে প্রথমে পেজে আসা অসম্ভব। তাই কোন কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে গুগলের ফাস্টপেজে আনতে হলে অবশ্যই এসইও করতে হবে। এসইও করে দুটি উপায়ে আয় করা যায়। এক- একটিভ আয় । দুই- প্যাসিভ আয়।

1. একটিভ আয় :

একটিভ আয় হচ্ছে যে আয় সরাসরি কোন ক্লাইন্ট বা কোম্পানীর কাজ করে আয় করা যায় তাকে একটিভ আয় বলে। আপনি কোন বায়ারের নির্দিষ্ট কোন কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারেন। আবার কোন দেশি-বিদেশী কোম্পানীর নির্দিষ্ট সময়ে প্রজেক্ট ওয়েতে কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারেন। এছাড়া কোন কোম্পানীতে মাসিক ভিত্তিতে চাকুরি করেও আয় করতে পারেন। একটিভ আয় করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন: ফাইবার ডট কম, আপওয়ার্ক ডট কম, গুরু ডট কম, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি। এই সাইট গুলোতে গিগ তৈরি করে বা বিট করে আয় করতে পারেন।

2. প্যাসিভ আয় :

প্যাসিভ আয় হচ্ছে যে কাজ একবার করে রাখলে সেখান থেকে বসে বসে আয় আসে তখন তাকে প্যাসিভ আয় বলে। অনেকে বলে ঘুমে ঘুমে যে আয় আসে তাকে প্যাসিভ আয় বলে। অর্থাৎ একবার কাজ করে রাখলে সারা বছর সেখান থেকে আয় আসতে থাকে। প্যাসিভ আয় বিভিন্ন ভাবে করা যায়। যেমন : ব্লগিং করে আয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, সিপিএ মার্কেটিং করে আয়, ইউটিউটিবিং করে আয় ইত্যাদি পদ্ধতিতে আয় করা যায়।

ব্লগিং করে আয় :

ব্লগিং হচ্ছে লেখালেখি করে যে আয় করা যায় তাকে ব্লগিং করে আয় করা বলে। কোন একটি নিশ নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করতে হবে। ভিজিটর আপনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ব্লগ সাইটে আসবে। এর জন্য আপনাকে ব্লগার ডট কম বা ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম দিয়ে একটি ব্লগসাইট তৈরি করতে হবে। ব্লগসাইটকে সঠিক ভাবে এসইও করতে হবে। প্রতিনিয়ত ব্লগসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। যখন আপনার ব্লগসাইটে সকল ক্যারাইটেরিয়া ফিলাপ হবে তখন গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্সে আপনার আবেদন করতে হবে। তারা আপনার সাইট রিভিও করে এপ্রোভ করলে এড প্রদর্শন করতে থাকবে। এই এডে কেউ ক্লিক করলে আপনার সাইট থেকে আয় হতে থাকবে। এই ব্লগসাইটে সঠিক ভাবে SEO করে ভিজিটর এনে আয় করতে পারেন।

ফিলিয়েট মার্কেটিং SEO করে আয় :

এফিলিযেট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন ভিত্তিক কাজ করে আয়। কোন কোম্পানীর প্রোডাক্ট বা পন্য বিক্রি করে দেওয়ার বিনিময়ে যে কমিশন পাওয়া যায় তাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা বলে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার বিভিন্ন কোম্পানী রয়েছে। যেমন : আমাজান, দারাজ, বিডি শপ ইত্যাদি। এই সমস্ত কোম্পানিতে রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের কোড নিয়ে রিভিও দিয়ে রাখলে সেখান থেকে আয় হতে থাকবে।এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে এসইও জানতে হবে। SEO এর সঠিক প্রয়োগ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

সিপিএ মার্কেটিং SEO করে আয় :

এসইও শিখে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায়। সিপিএ হচ্ছে ক্লিক পার একশান। যখন কোন ওযার্কার ক্লিক পার একশান ফিলাপ করবে তখন সেখান থেকে ইনকাম হতে থাকবে। সিপিএ করার বিভিন্ন সাইট রয়েছে। যেমন : সিপিএ গ্রিপ, সিপিএ লিড ইত্যাদি। এ সাইট গুলোতে রেজিষ্ট্রেশন করে বিভিন্ন ওয়েতে আয় করা যায়। তাদের লিড গুলো ফুলফিল করতে পারলে তারা বিভিন্ন রেটে ডলার বা সেন্ট প্রদান করে থাকেন। এই কাজ করতে হলেও আপনাকে এসইও এর কাজ সঠিক ভাবে জানতে হবে।

ইউটিউব এসইও করে আয় :

ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখানে যে কেউ ভিডিও আপলোড করতে পারে। এই ভিডিও দেখে অনেকে অনেক কিছু শিখতে পারে এবং উপকৃত হয়ে থাকে। মানুষ অহরহ ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকে। এই ভিডিও সবার কাছে পৌছাতে বা ইউটিউব এবং গুগলের প্রথম পেজে দেখতে হলে এসইও করতে হয়। এই ভিডিও সঠিক ভাবে এসইও করা হলে সবাই তা দেখতে পাবে। তখন আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এভাবে ইউটিউবের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে ফুলফিল করতে পারলে এখানেও গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করে আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুন :

কিভাবে ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স করবেন

কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করবেন

শেষকথা :

পরিশেষে কথা হচ্ছে এসইও করে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে উপরে আমরা জানতে পারলাম।এছাড়াও এসইও সম্পর্কে আরো অনেক কাজ রয়েছে। মোটকথা এসইও এর কাজ সঠিক ভাবে শিখতে পারলে কাজের কোন অভাব নেই। তবে সঠিক এসইও স্কিল অর্জন করতে হবে। এসইও কাজের বিভিন্ন ধাপ যেমন: অনপেজ এস ই ও, অফপেজ এস ই ও, টেকনিক্যাল এস ই ও এর কাজ শিখতে হবে। এই সমস্ত কাজ গুলো শিখতে পারলে যে কোন কিওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইন্জিনের প্রথম পেজে আনতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে আসলে সে ওয়েবসাইট সব দিকে থেকে গেইন হতে পারবে। তার যে কোন সার্ভিস বা ব্যবসায় সফলতা বয়ে আনতে পারবে।

Related posts

2 Thoughts to “এসইও করে আয় করার উপায়”

Leave a Comment