এস ই ও গাইডলাইন (SEO Guideline) ফর বিগিনার

SEO Guideline

অনলাইন জগতে নতুনদের এস ই ও শিখার আগ্রহ রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু কিভাবে শিখবে তার সঠিক এস ই ও গাইডলাইন (SEO Guideline) জানা নাই। তাই নতুনরা এই সেক্টরে তেমন সাকসেসফুল হতে পারে না। নতুনরা কিভাবে এসইও শিখতে পারবে তার সঠিক গাইডলাইন এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। সঠিক ভাবে এস ই ও শিখতে পারলে একটি ওয়েবসাইটকে সহজে গুগল ফাস্টপেজে আনা সম্ভব। এস ই ও শিখার মুল লক্ষ হচ্ছে ওয়েবসাইটকে গুগল রেজাল্টপেজে প্রথম বা প্রথম পাতায় আনার চেলেঞ্জ। আর কিভাবে সেটা করা সম্ভব তা জানতে হলে আপনাকে প্রোপার ওয়েতে এস ই ও এর কাজ জানতে হবে। এস ই ও এর কাজ জানতে হলে “এস ই ও গাইডলাইন (SEO Guideline) ফর বিগিনার” এই আর্টিকেল ফলো করুন।

এস ই ও কি :

এস ই ও (SEO) এর এভরিভিশেন হচ্ছে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে গুগলের একটি এলগরিদম বা বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি। গুগলের এমন কিছু বট বা স্পাইডার রয়েছে যা আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য খুজে বের করতে সক্ষম। ধরুন, আপনি সার্চ ইন্জিন পেজে “মৌসুমীর ছবি” লিখে সার্চ করলেন। দেখবেন গুগল মৌসুমীর অসংখ্য ছবি আপনাকে দেখাবে। এটা কিভাবে সম্ভব। এটা একমাত্র সম্ভব গুগল সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের কারনে। তাই কোন নিশ বা বিষয়কে সঠিক ভাবে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে। তবেই গুগল তার রেজাল্ট পেজের প্রথম পাতায় আপনার তথ্য বা টপিককে দেখাবে। এস ই ও সাধারনত দুই প্রকার: অনপেজ এস ই ও এবং অফপেজ এস ই ও। এছাড়াও টেকনিকেল এস ই ও রয়েছে।

সার্চ ইন্জিন কি :

সার্চ ইন্জিন হচ্ছে যেখানে আমরা কোন কিছু লিখে সার্চ করি সেটাই হচ্ছে সার্চ ইন্জিন। যেমন : গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি এগুলো হচ্ছে সার্চ ইন্জিন। অনলাইন জগতে অসংখ্য সার্চ ইন্জিন রয়েছে। সে গুলো হলো :

www.google.com

www.yahoo.com

www.bing.com

www.baidu.com

www.yanex.com

www.ask.com

www.duckduckgo.com

www.aol.com

এস ই ও গাইডলাইন ( SEO Guideline ) :

এস ই ও হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি পার্ট বা অংশ। এস ই ও একটি বিরাট সেক্টর। এসইও শিখতে হলে আপনাকে সময়, ধর্য্য ও মেধা প্রয়োগ করতে হবে। যদি আপনি সঠিক ভাবে তিন মাস ধর্য্য ধরে এই সেক্টরে লেগে থাকতে পারেন, আর জানার প্রবল আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি এস ই ও শিখতে পারবেন। এস ই ও বা কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে প্রথমে নিশ সেলেক্ট করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে নিশ কি ? নিশ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট কি রিলেটেড তার বিষয় নির্ধারন করা। অর্থৎ কোন বিষয়কে নিশ বলা হয়ে থাকে। যেমন : টেকনিক্যল, গেম, ট্রাভেল, কুকিং, ফুড ইত্যাদি। এছাড়া ডোমেন ও হোস্টিং কি আপনাকে জানতে হবে।ডোমেন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম এবং হোস্টিং হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য যেখানে রাখা হয় তাকে হোস্টিং বলা হয়ে থাকে। এস ই ও শিখতে কি কি জানা দরকার তা জানতে হলে আর্টিকেলটি ধর্য্য ধরে পড়ুন।

1. কিওয়ার্ড রিসার্চ করা :

এস ই ও শিখতে হলে প্রথমে কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে জানতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে কিওয়ার্ড কি ? কিওয়ার্ড হচ্ছে আমরা ব্রাউজারে যা কিছু লিখে সার্চ করি তাহাই হচ্ছে কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড দুই প্রকারের হয়ে থাকে। এক, শর্টটেল কিওয়ার্ড ও দুই, লংটেল কিওয়ার্ড। শর্টটেল কিওয়ার্ড সাধারনত এক শব্দের হয়ে থাকে। লংটেল কিওয়ার্ড দুই শব্দ বা ততোধিক শব্দের হয়ে থাকে। কিওয়ার্ড রিসার্চের অসংখ্য টুলস রয়েছে। যেমন : Keword plannar.com , Ahrefs.com, Semrush.com ইত্যাদি। এই সমস্ত টুলস দ্বারা আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। এখানে কিছু ফ্রি টুলস রয়েছে আবার পেইড টুলস রয়েছে। প্রথমত ফ্রি টুলস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে কিওয়ার্ডের ডিফিকেলেটি কেমন, কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম কেমন ইত্যাদি তথ্য জানতে হবে। তবেই একটি কিওয়ার্ডকে গুগলের ফাস্টপেজে আনা সম্ভব। তাই প্রথমে আপনার নিশ বা বিষয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে ক্লিক করুন।

2. অনপেজ এস ই ও করা :

অনপেজ এস ই ও হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভিতরে যে কাজ গুলো করতে হয় তাকে অনপেজ এস ই ও করা বলা হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটের ট্রাকচার কেমন হবে, কোন পেজ কোথায় থাকবে তা অনপেজ এসইও এর মাধ্যমে করতে হবে। এছাড়া কন্টেন্টকে অপটিমাইজ করতে হবে। যেমন : টাইটেল অপটিমাইজ করা, ইউ আর এল অপটিমাইজ করা, ম্যাটা ডিসক্রেপসন অপটিমাইজ করা, ফোকাস কিওয়ার্ড সেট করা, কিওয়ার্ড ডেনসিটি নির্ধারন করা ইত্যাদি অনপেজ এস ই ও এর কাজ। অনপেজ এস ই ও কিভাবে করতে হয় তা জানতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।

কিভাবে অনপেজ এস ই ও করবো

3. অফপেজ এস ই ও করা :

অফপেজ এস ই ও হচ্ছে ওয়েবসাইটের বাহিরে যে কাজ গুলো করা হয়ে থাকে তাকে অফপেজ এস ই ও করা বলা হয়ে থাকে। অফপেজ এস ই ও কে লিংকবিল্ডিং বা ব্যাকলিংক করা বলা হয়ে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে লিংক বিল্ডিং বা ব্যাকলিংক কি ? ব্যাকলিংক হচ্ছে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সে ওয়েবসাইট সম্পর্কে রিএলিভেন্ট কমেন্ট করে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বসিয়ে দেওয়াই হচ্ছে ব্যাকলিংক করা। ব্যাকলিংক করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন : ডিরিক্টরি সাবমেশন করা, ওয়েবসাইটে কমেন্টিং করা, গেষ্টপোস্ট করা, ওয়েব 2 ব্যাকলিংক করা, বুকমার্ক করা ইত্যাদি। অফপেজ এসইও বা ব্যাকলিংক করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।

কিভাবে অফপেজ এস ই ও করবো

4. টেকনিক্যাল এস ই ও করা :

টেকনিক্যাল এস ই ও হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিক। একটি ওয়েবসাইটে টেকনিক্যাল যে কাজ গুলো করা হয়ে থাকে তাকে টেকনিক্যাল এস ই ও করা বলা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটে স্পীড ঠিক রাখা, ওয়েবসাইটের SSL সার্টিফিকেট সেট করা, রোবোট টেকস্ট ফাইল সেটাপ করা, সাইট ম্যাপ সেট করা ইত্যাদি টেকনিক্যাল এস ই ও কাজ। টেকনিক্যাল এস ই ও একটি ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। টেকনিক্যাল এস ই ও সঠিক ভাবে সেটাপ করা না থাকলে আপনার ওয়েবসাইকে কেউ দেখতে পাবে না। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা না থাকায় ভিজিটর আসবে না। টেকনিক্যাল এস ই ও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লিংক ফলো করুন।

কিভাবে টেকনিক্যাল এস ই ও করবো

5. গুগলে ইনডেক্স করা :

আপনার ওয়েবসাইটকে সকলের কাছে উপস্থাপন করতে হলে ওযেবসাইটকে গুগলে ইনডেক্স করতে হবে। গুগলে ইনডেক্স করার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে ইনডেক্স করতে হবে। গুগল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে ইনডেক্স করতে হয়। কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে ইনডেক্স করবেন জানতে লিংকে ক্লিক করুন। কিভাবে ওয়েবসাইটকে গুগলে ইনডেক্স করবে

এস ই ও সম্পর্কে চেকলিস্ট বা এস ই ও গাইডলাইন (SEO Guideline) :

  1. নিশ বা টার্গেটেড কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।
  2. ডোমেন ও হোস্টিং সম্পর্কে জানতে হবে।
  3. কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে জানতে হবে।
  4. অনপেজ এস ই ও সম্পর্কে জানতে হবে।
  5. অফপেজ এস ই ও সম্পর্কে জানতে হবে।
  6. টেকনিক্যাল এস ই ও সম্পর্কে জানতে হবে।
  7. ওয়েবসাইট অডিট সম্পর্কে জানতে হবে।
  8. বিভিন্ন এস ই ও টুলস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
  9. এস ই ও রিলেটেড বিষয় গুলো ফিক্স করা সম্পর্কে জানতে হবে।
  10. সর্বপরি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে উপরের সকল বিষয় ইমপেলিমেন্ট করে সে ওয়েবসাইটকে গুগলের ফাস্টপেজে আনতে সক্ষম হলে নিজেকে একজন এস ই ও কনসালটেন্ট বা এক্সপার্ট হিসেবে দাবি করতে পারেন। তারপরও সার্বক্ষনিক এস ই ও রিসার্চ করে যেতে হবে।

শেষ কথা :

পরিশেষে কথা হচ্ছে অনলাইনে এস ই ও একটি গুরুত্বপূর্ন সেক্টর। আপনার কন্টেন্ট সঠিক ভাবে এস ই ও করা না থাকলে তাহা কেউ দেখতে পাবে না। যদি আপনার কনটেন্ট কেউ নাই দেখতে পায় তাহলে আপনার উদ্দেশ্য সবই বিফলে যাবে। তাই আপনার ওয়েবসাইট বলেন, আপনার ইমেজ বলেন, আপনার কনটেন্ট বলেন যাই বলেন না কেন সকল বিষয়কে সঠিক ভাবে এস ই ও করতে হবে। তবেই আপনার কনটেন্টকে গুগলে সার্চ করলে সবাই তা দেখতে পাবে। আর এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সঠিক এস ই ও গাইডলাইন। আপনি যদি এই এস ই ও গাইডলাইন (SEO Guideline) মেনে আপনার কনটেন্টকে এস ই ও করতে পারেন তাহলে আপনার কনটেন্টকে গুগলের ফাস্টপেজে আনা সম্ভব এবং সার্চ করলে সবাই তা দেখতে পাবে।

Related posts

Leave a Comment